আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে দেশটির সরকার। এই উদযাপনে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল যোগ দিতে পারে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু সেনাবাহিনীর এক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশের মতো ভারতেও ১৬ ডিসেম্বরকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিকে ভারত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন ও পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশর আত্মপ্রকাশের স্মারক দিবস হিসেবে বিবেচনা করে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সূত্রদের মতে, বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলে মুক্তিযোদ্ধারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
সোমবার ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিক্রম মিশ্রি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বৈঠক করেন।
এই বৈঠকের পর গতকাল বিজয় দিবস উযদাপনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের যোগদানের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে ঢাকায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন মতে, গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারত, উভয় দেশেই তার গ্রেপ্তার সূত্র সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সূত্ররা আরও উল্লেখ করেন, এ বছর দেশটিতে বিজয় দিবস উদযাপনে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সামরিক চিহ্ন এঁকে দেওয়া এবং কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে।
২০২৩ সালে ভারতের বিজয় দিবস উযদাপনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা। আদের মধ্যে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।
তারাও ফোর্ট উইলিয়ামে এসে বিজয় দিবস উদযাপনে অংশ নেন।
এন পি/
Discussion about this post