মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশালে জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নাগরিক কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন, যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে আকস্মিক এই হামলা চালায়।
এসময় সভার চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলা ও মারধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এক যুগ্ম সদস্য সচিবসহ পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগরের সদর রোডে বিবির পুকুরের দক্ষিণপাড়ে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নাগরিক কমিটির নেতারা জানান, সদর রোডের বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে সিটি করপোরেশনের অ্যানেক্স ভবনের পাশের সড়কে আলোচনা সভার জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়েছিল। সভা শুরু হওয়ার কিছু সময় পরই যুবদল ও কৃষকদলের একদল নেতাকর্মী সেখানে আসেন। তারা এই স্থানে সভা করা যাবে না হুমকি দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব চিকিৎসক মাহমুদা মিতুর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছড়ি শুরু হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বরিশাল মহানগরের সংগঠক মো. সাজ্জাদুর রহমান ওরফে শাকিল মৃধা বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত আলোচনা সভার মধ্যেই একদল লোক এসে আমাদের আওয়ামী লীগের লোক, এখানে রাস্তা আটকে আলোচনা সভা করা যাবে না, এসব বলে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার ছুড়ে মারে। এসময় সেখানে পুলিশও উপস্থিত ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিবকে মারধর করে তাকে বিবির পুকুরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এতে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থী হামজালাল ও তার মা রুমানা বেগম, সংগঠনের সদস্য জিএম মেহেদী হাসান, মো. আসিফ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় গিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাঈদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় আলোচনা সভা থেকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল ‘আওয়ামী লীগের সরকার বারবার দরকার’ -এমন স্লোগান শুনে আমাদের কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে আমরা তাদের নির্বৃত্ত করেছি। এখানে বড় কিছু হয়নি।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখানে আচমকা একদল লোক এসে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে। তারা আমাদেরকে বলতে পারত আমরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post