একূল-ওকূল, দু’কূলই গেল বাশার আল আসাদের। আগেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদ খুইয়েছেন তিনি। আর এ বার ঘর ভাঙতে চলেছে তাঁর। সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের থেকে বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী আসমা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিনি ডিভোর্স ফাইল করেছেন। তবে কেন স্বামীর সঙ্গে থাকতে ইচ্ছুক নন সিরিয়ার ‘প্রিন্সেস ডায়না’?
বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে আসমা জানিয়েছেন, মস্কোয় তাঁর জীবন নিয়ে মোটে সন্তুষ্ট নন তিনি। সিরিয়া ছাড়ার পর জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সে কারণে স্বামী আসাদকে ছেড়ে ব্রিটেনে পাড়ি দিতে চান তিনি।
সদ্যই সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গদিচ্যুত হন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। প্রাণ বাঁচাতে পরিবার-সহ সিরিয়া ছেড়ে আশ্রয় নেন বন্ধু দেশ রাশিয়ায়। বর্তমানে পুতিনের দেওয়া রাজনৈতিক আশ্রয়ে মস্কোতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখানে থাকতে রাজি নন আসাদ-পত্নী। ফলে স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চাইলেন আসমা।
জানা গিয়েছে, সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের স্ত্রী আসমা আল আসাদ মস্কোর একটি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছেন। সিরিয়া থেকে মস্কোয় গিয়ে তাঁর জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট নন বলে উল্লেখ করেছেন বিচ্ছেদের কারণে। আসমা তাঁর পরিবারকে নিয়ে নিজের শহর লন্ডনে ফিরতে যেতে চান।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত সিরিয়ান নাগরিক আসমা। লন্ডনেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ২০০০ সালে, ২৫ বছর বয়সে আসমা সিরিয়ায় পাড়ি দেন। ওই বছরই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে বসেন বাশার আল আসাদ। এত বছর সিরিয়ায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করার পর এখন মস্কোয় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন আসমা।
জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় আশ্রয় দিলেও, সেখানে বাশার আল আসাদের উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে রাশিয়া তো দূর, মস্কোও ছাড়তে পারবেন না সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। কোনও দলীয় কাজেও যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি।সূত্রের খবর, আসাদের যাবতীয় টাকাপয়সা, ধনসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। সিরিয়া থেকে পালানোর সময়ে ২৭০ কেজি সোনা, ২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এসেছিলেন আসাদ। সেই সব সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মস্কোয় ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তাঁর নামে। সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সৌদি ও তুরস্কের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাশার আল আসাদ ও তাঁর স্ত্রীকে মস্কোয় আশ্রয় দেওয়া হলেও, তাঁর ভাইকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হয়নি। তাঁরা এখনও সিরিয়াতেই গৃহবন্দি রয়েছেন। সে কারণেও উদ্বিগ্ন আসমা আল আসাদ।
এস এম/
Discussion about this post