সম্প্রতি বর্ষা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ২১ বছর বয়সেই তিনি পাঁচবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যার মধ্যে গত আট মাসে তিনটি বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই তিনি নিজেকে ‘কুমারী’ পরিচয় দিতে নিজের খালাতো বোনের জন্ম সনদ ব্যবহার করেছেন।
গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত হন রাসেল। পরবর্তী সময়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন রাসেলের পরিবারকে অনুদান হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করে। কিন্তু এই অনুদানের টাকা দাবি করতে আসেন বর্ষা আক্তার। রাসেলের পিতা-মাতা তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই বেরিয়ে আসে বর্ষা আক্তারের অতীত এবং তার একাধিক বিয়ের বিষয়ে নানা অসঙ্গতি।
অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের সময় বর্ষা আক্তার নিজেকে ‘ময়না’ নামের ভুয়া পরিচয়ে পরিচিত করিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি কখনোই তার পূর্ববর্তী স্বামীদেরকে আইনি প্রক্রিয়ায় ডিভোর্স দেননি।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ডিভোর্স ছাড়া একাধিক বিয়ে বৈধ নয়। এটি স্পষ্টতই প্রতারণা এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
বর্ষা আক্তারের এসব কর্মকাণ্ড সামনে আসার পর সমাজে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা আক্তারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ রোধ করা যায়।
এই বিতর্কিত ঘটনাটি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তাধীন রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এস এইচ/
Discussion about this post