জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, ‘রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস (সংকট) থাকবে না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে মূল্য রাখা যায়।’
রবিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাজশাহী বিভাগে ক্যাবের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের বিষয়ে ক্যাব নেতাদের বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোক্তার ডিজি বলেন, রমজানের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সয়াবিন তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, সেমাইসহ বেশ কিছু পণ্যের ডিউটি ও ট্যারিফ কমিয়েছে। কিছু কিছু পণ্যে প্রায় জিরোর কাছাকাছি ধরেছে। অনেকেই এলসি খুলেছেন, আমদানি করছেন। রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস থাকবে না। আমাদের যে শক্তি আছে। তা দিয়ে আমরা ভোক্তাদের নাগালে দাম রাখার চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু জিনিস আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। সবকিছু যদি সঠিকভাবে চলে আমরা আশা করছি রমজানে ক্রাইসিস হবে না। এছাড়া মাংসের মূল্য যৌক্তিক মূল্যের বাইরে যেন না যায় সে বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যদের সজাগ থাকতে হবে।’
আলীম আখতার বলেন, ‘সম্প্রতি সময়ে আমরা দুইটি জিনিসের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। একটা হলো পিঁয়াজ, আর একটা আলু। আমরা সাধারণভাবে দ্রব্যমূল্যের ধারণা পেয়ে থাকি কৃষি বিপন্ন অধিদপ্তর থেকে। ২৭ টাকার মধ্যে কোল্ডস্টোরগুলোতে (হিমাগার) আলু রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে কোল্ডস্টোরের ভাড়া, পরিবহন ইত্যাদি মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি করলে এটাকে যৌক্তিক মূল্য বলা হচ্ছে। তারপরেও এটাতে আরও কিছু লাভ ধরে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সেই দামে বিক্রির বিষয়ে আমরা আন্তরিক ছিলাম।’
এ ইউ/
Discussion about this post