পশ্চিম আকাশে লাল আভা ছড়িয়ে নিস্তেজ হওয়ার পথে সূর্য। বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে জড়ো হন হাজার হাজার পর্যটক। সূর্যের দিকে সবার চোখ। কেউ তুলছেন ছবি, কেউ ধারণ করছেন ভিডিওচিত্র। এমনই এক আনন্দময় পরিবেশে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে হাত নেড়ে বর্ষবিদায় জানালেন লাখো পর্যটক।
লাবণী পয়েন্টের পাশাপাশি সুগন্ধা, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, প্যাঁচারদ্বীপ, ইনানী, পাটোয়ারটেক, টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন সৈকতেও পুরোনো বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানান বিপুলসংখ্যক পর্যটক। কেউ প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করেন।
থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মঙ্গলবার সৈকতের উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ব্যান্ডসংগীত নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। এ জন্য পর্যটকের অনেকে হতাশার কথা জানিয়েছেন। সূর্যাস্তের পর অনেকে সৈকত থেকে হোটেলে ফিরে যান।
পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সি সেফ লাইফগার্ড কর্মীরা বলেন, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে প্রতি বছর সৈকতে অন্তত তিন লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি।
তবে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাভেদ ইকবাল বলেন, সৈকতে থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজন না থাকায় হাজার হাজার পর্যটক সন্ধ্যার পর হোটেল কিংবা বাড়ি ফিরে গেছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সৈকতের উন্মুক্ত জায়গায় সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকলেও জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কয়েকটি তারকা মানের হোটেলে নিজস্ব অতিথিদের জন্য বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নাজিরারটেক থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতের সবখানে অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যেও বিকেলে বালুচরে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানিয়েছে লাখো মানুষ।
এস এইচ/
Discussion about this post