ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জের এবং বাঞ্ছারামপুরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫জন আহত হয়েছে ৷ এ সময় বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের ইমামবাড়ি এলাকায় খুরশীদ মিয়ার ছেলে শরীফের ভিটে বাড়ির জায়গা নিয়ে একই এলাকার মৃত মতর মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়ার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বিকেলে দু’পক্ষের ৪০-৫০ জন লোক দা-লাঠিসোঁটা, ফলা, টেঁটা -বল্লম নিয়ে সংর্ঘষে জড়ায় ৷ এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে পূর্ব বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ৷
গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হযে়ছে।
বুধবার সকালে উপজেলা শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হযে়ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সফু সরকারের বাড়ির সঙ্গে আজগর আলী সরকার বাডি়র বিরোধ চলছিল।এই বিরোধের জেরে বুধবার সকালে দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র রামদা, বল্লম, টেঁটা, ছুরি ও লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সফু সরকার বাড়ির মতিউর রহমান সরকার জানান, দীর্ঘ ২মাস ধরে আজগর আলী সরকার বাড়ির মো. সুলতান মাস্টারের পক্ষের লোকজন রাতের বেলা আমাদের বাড়িঘর ও লোকজনের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে আসতেছে। বুধবার সকালে হঠাৎ তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা আত্মরক্ষার্থে করতে তাদেরকে ধাওয়া করি। এ সময় আমাদের লোকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
আজগর আলী সরকার বাড়ির ইসমাইল হোসেন জানান, মাস দেড়েক আগে মতিউর রহমান ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছিল। সে সময় আমাদের পক্ষের লোকজন আহত হয়েছিল। তারপর থেকে আমরা গ্রামে যেতে পারছি না। মঙ্গলবার (৩২ ডিসেম্বর) আমরা গ্রামের বাড়িতে যাই। এতে পূর্ব বিরোধের জেরে বুধবার সকালে মতির লোকজন আমাদের ওপর হামলাসহ বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। আমাদের পক্ষের অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ
হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, শান্তিপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে।
আহতরা নরসিংদীতে চিকিৎসা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
এম এইচ/
Discussion about this post