জামালপুরের বকশীগঞ্জে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে উঠান বৈঠকে অংশ নেয়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা। প্রথমে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বৈঠকে অংশ নিলেও, পরে জানা যায় সে বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) রাতে বকশীগঞ্জের পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের মালিররচর নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটক মাহফুজ রহমান বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তবে সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার সদস্য পদেও রয়েছেন বলে জানা যায়।
মালিরচর গ্রামের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোববার রাতে এলাকার ছাত্র-জনতা মাদকবিরোধী উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ।
সেই বৈঠকে মাহফুজ রহমান নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছাত্র-জনতার সন্দেহ হয়। পরে তার মোবাইল চেক করে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এলাকার মানুষের চাপের মুখে সে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে স্বীকার করে। পরে ছাত্র-জনতা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘মালিরচরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাদকবিরোধী একটি উঠান বৈঠক ছিল। সেখানে ছাত্র-জনতার সাথে তিনিও প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ছাত্র-জনতাই তাকে চিহ্নিত করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আমরা প্রাথমিক তদন্তে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলারও প্রমাণ পেয়েছি। তাকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
ছাত্রলীগের সদস্য কীভাবে সমন্বয়ক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার কমিটিতে স্থান পেলো- এই বিষয়ে জামালপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে তার ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এম এইচ/
Discussion about this post