এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশাল এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ছয়টি। যার মধ্যে ডেভিড মালান সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একটা ম্যাচে। সেই ম্যাচে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তাই আক্ষেপ থাকতেই পারে পাঁচ ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকার। তাই হতাশ হওয়াটাও স্বাভাবিক টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এক নম্বর ব্যাটসম্যানের। অবশ্য বরিশালে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, ভালো দল বলে একাদশে সুযোগ কম হয়েছে, এমনটা মনে করেন মালান। আজ চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশালের অনুশীলনের এক পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মালান বলেন, ‘প্রথম পাঁচটি ম্যাচ মিস করায় আমি হতাশ। কারণ সিলেটের উইকেট খুব ভালো ছিল, মিরপুরের পিচও ভালো ছিল। চট্টগ্রাম তো বিশ্বের সেরা পিচগুলোর মধ্যে একটি।এখন পর্যন্ত সব কিছু দারুণ হয়েছে এবং আমি আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে।’
ক্রিকেট-ক্যারিয়ারে মালান যা কিছু হতে পেরেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রতি। তিনি কৃতজ্ঞ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ওপরও। বলেছেন, “এই লিগগুলোতে খেলার সুযোগ না পেলে ‘আজকের মালান’ হতে পারতেন না।
মালান বলেন, ‘আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের বিশেষ একটি অবস্থান আছে। এখানে আমি ১০-১১ বছর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট খেলেছি। পাকিস্তান সুপার লিগের মতো এই লিগও আমাকে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের উন্নতি ঘটাতে, ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে ভালো করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব বিপিএল, ডিপিএল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি, কারণ এখানে খেলে আমি যে উন্নতি করেছি, তা ছাড়া আমি হয়তো ‘আজকের মালান’ হতে পারতাম না। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিরে আসা সব সময়ই আনন্দের বিষয়।
মালান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে, প্রাইম দোলেশ্বরে। এরপর ২০১৫-১৬ মৌসুমে পিএসএলে খেলে ২০১৬-১৭ থেকে বিপিএলে খেলতে শুরু করেন। প্রথমবার ছিলেন বরিশাল বুলসে, পরে খেলেছেন খুলনা টাইটানস, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সে। একপর্যায়ে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে তিন সংস্করণে ব্যস্ত হয়ে গেলে ২০১৯ সালের পর আর বিপিএলে আসেননি।
রিশাদ সম্পর্কে মালান বলেন, ‘সে দুর্দান্ত! এটি খুব দিক যে বাংলাদেশে একজন লেগ স্পিনার আছে। যদি আপনি বিশ্বের সব ভালো দলগুলো দেখেন, তাদের সবাই লেগ স্পিনার রাখে। যদি আপনার কাছে একজন লেগ স্পিনার থাকে, সে এআপনাকে এক ম্যাচ জেতাতে পারে, বিশেষ করে ওয়াইট-বল ক্রিকেটে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যতটা সম্ভব তাকে খেলার সুযোগ দিতে হবে। সে যত বেশি খেলবে, তত বেশি তার উন্নত হবে। তাকে প্রতিটি লিগে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত, কারণ এটি ছাড়া তার উন্নতি সম্ভব নয়। সে অনেক বড় প্রতিভা। দুদিক থেকে বল ঘোরানোর দক্ষতা এবং অনেক স্কিল রয়েছে তার। এবং সে ব্যাটও করতে পারে।’
এম এইচ/
Discussion about this post