বেক্সিমকোর বন্ধ প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বেশকিছু দিন আমরা একটা শান্ত পরিবেশে ছিলাম। হঠাৎ গতকাল তারা সমাবেশ করে বলেছে তাদের তিনটা দাবি। এ দাবিগুলো মানা আমার মনে হয় কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব না এবং অত্যন্ত অযৌক্তিক। তারপরও তারা বলেছে, মানববন্ধন করবে রাস্তাঘাট বন্ধ করবে। তারা করেছে, আমরা কিছু বলিনি। পুলিশ মোতায়েন ছিল, আর্মি মোতায়েন ছিল তাদেরকে বাধা দেয়নি।”
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম তাদের নেতারা যারা আছেন—তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল। মনে করেছি এবং এখনও মনে করি তারা দায়িত্বশীল হিসেবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন। তাতে কোনো আপত্তি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “গতকাল যা হয়েছে আপনারা জানেন। শতাধিক বাস জ্বালানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা করার কথা ছিল না। এটা কখনও হয়নি। হঠাৎ করে এটা কেন হলো, এটা আমরা খতিয়ে বের করব। আমি মনে করি এটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন কাজ। যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন—তারা টোটালি ফলস (ভুল) কাজ করেছেন এবং দেশবাসীর জন্য বড় সংকট তৈরি করতে যাচ্ছিল।”
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “চরম ধৈর্য দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেই ধৈর্যের মর্যাদা তারা রাখেনি। গতকাল বৈঠকের সময় সচিব কথা বলেছেন, তখন তারা বলেছেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলব শান্তিপূর্ণভাবে। আজকে তারা এসে কথা বলেছে। যিনি আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনিও এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত তো কারও গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। এখন তো দেখছি এটি আমাদের দুর্বলতা। অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশকে মেরেছে, এমনকি সেনাবাহিনীর গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে।”
২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেক্সিমকোর কর্মীরা। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “ওই জায়গাও তো বন্ধক রয়েছে।”
এস এম/
Discussion about this post