বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। আজ রবিবার আখেরি মোনাজাত চলাকালে হঠাৎ মুসল্লিরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। ড্রোন মাটিতে পড়ার শব্দ থেকে এই আতঙ্ক বলে জানা গেছে। এতে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪০ জন।
আখেরি মোনাজাত চলাকালে সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে টঙ্গী স্টেশন রোডে ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে টঙ্গী-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে টঙ্গীর পাগাড় এলাকার জাফর উদ্দিন জানান, আমি মোনাজাত করছিলাম। হঠাৎ সামনে হৈচৈ শুরু হলে মুসল্লিরা ছুটোছুটি করতে থাকে। ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে গিয়ে আমি আহত হই।
অপর আহত মকবুল হোসেন বলেন, আমি টিনশেড মসজিদের ভেতরে মোনাজাত ধরেছিলাম। হঠাৎ দেখি চারপাশে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়েছে। দৌড়ানোর সময় পড়ে গেলে মুসল্লিরা আমার উপর দিয়ে দৌড়ে গেলে আহত হই।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, ড্রোন পড়ার আতঙ্কে অনেক মুসল্লি দৌড়ে হাসপাতালে আসেন।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তারা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ড্রোন পড়ে যায়। এর শব্দ থেকে আতঙ্কের সৃষ্টি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, কামারপাড়া সড়কে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি সক্রিয় ড্রোন মাটিতে পড়ে যায়।
গ্রামের সহজ-সরল মানুষ এটা দেখে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন আহত হন।
শুরায়ি নেজামের অধীনে আজ সকাল ৯টা ১১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে। আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর।
এ ইউ/
Discussion about this post