ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মো. রিফাত (১২) নামে এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা করে ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেতের পাশের জমি থেকে মাটি খুড়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রিফাত উপজেলার কাতলসার গ্রামের মো. মফিজুল ইসলামের ছোট ছেলে। সে কাতলসার শহিদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের খরচ জোগাতে ভাড়ায় ভ্যানগাড়ি চালাত সে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মো. মিরাজ (১৭) নামে একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাতলসার গ্রামের মো. মফিজুল ইসলামের ছোট ছেলে রিফাত পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখার পাশাপাশি অভাবের সংসারে অর্থের জোগান দিতে মাঝে মধ্যে ভাড়ায় ভ্যানগাড়ি চালাতো। গত ২৭ জানুয়ারি বিকালে পাশের বাড়ির এক লোকের অটো ভ্যানগাড়ী নিয়ে ভাড়ায় চালাতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন তার খোঁজ না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বড় ভাই আরিফ হাসান বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার রাতে উপজেলার জয়রামপুর এলাকার মো. শহিদুরের ছেলে মো. মিরাজ (১৭) নামের একজনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ সোমবার নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেতের মাঝখান থেকে মাটি খুঁড়ে রিফাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ জানিয়েছে রিফাতকে একটি ধানের মিলে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে অটোভ্যান গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে সরিষা ক্ষেতের পাশের জমিতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, জিডি হবার পর থেকেই পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধানে নামে। একজনকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post