শ্বশুরবাড়ির দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাই বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। বউয়ের ভাইয়ের (সুমন্দি) নেতৃত্বে ১০-১২ জন এই হামলা চালায়। এ সময় ভগ্নিপতি পারভেজ মাতব্বর (২৭), তার মা হালিমা বেগম (৪৫) এবং বোন তানজিলাকে (১৯) মারধর করা হয়।
আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার জমি চাষের সময় ট্রাক্টর উল্টে পারভেজ মাতব্বরের শ্বশুর মানিক রাঢ়ী মারা যান। রবিবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মিলাদ ও খাবারের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সুমন্দি সাকিল রাঢ়ী তার ভগ্নিপতিকে দাওয়াত দেন। কিন্তু দোয়া মিলাদে তিনি অংশ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সুমন্দি সাকিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ভগ্নিপতি পারভেজ মাতব্বরের বাড়িতে এসে তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে দরজা-কপাটসহ আসবাবপত্র, থালাবাটি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পারভেজ মাতব্বর অভিযোগ করেন, স্ত্রী মীম আক্তারের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। এ কারণে অভিমান করে তিনি শ্বশুরের দোয়া মিলাদ ও খাবারের অনুষ্ঠানে যাননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুমন্দি সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং তাকেসহ তার মা ও বোনকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনা চলাকালে তার বাবা সিদ্দিক মাতব্বর থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের আটক করেনি। পারভেজ জানান, তার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি পাশাপাশি।
এ ব্যাপারে সাকিল রাঢ়ী বলেন, “আমার বোন মীম আমাদের বাড়িতে থাকে। সকালে তিনি আমার বাবার দোয়া মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে শ্বশুরবাড়ি গেলে আমার ভগ্নিপতি তাকে মারধর করে। আটকে রাখে। এরপর নিজেই তার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। পরে আমরা খবর পেয়ে ওই বাড়ি গিয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
এ ইউ/
Discussion about this post