বান্দরবানে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর দুর্গম মুরুংঝিরি থেকে রাবারবাগানের ২৬ জন শ্রমিককে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত শ্রমিকদের জন্য মুক্তিপণও দাবি করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা, এমনটিই দাবি করেছেন এক রাবারবাগানের মালিক। অপহৃতদের উদ্ধারে দুর্গম পাহাড়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লামা থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন।
এ দিকে রাবারবাগানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে অপহৃত ২০ জন শ্রমিকের নাম পরিচয় জানা গেছে।
অপহৃত শ্রমিকরা হলেন- মো. ফারুক (২৬), আয়ুব আলী (২৬), মো. সিদ্দিক (৪০), আবদুল খালেক (২০), আবদুল মাজেদ (১৭), মনিরুল ইসলাম (৩০), জিয়াউর রহমান (৪৫), মো. মোবারক (২৫), মো. হারুন (৩০), রমিজ উদ্দিন (৩২), সৈয়দ নুর (২৮), মো. কায়ছার (৩৮), মনির হোসেন (৩৫), মো. ইমরান (১৭), মো. মঞ্জুরুল (৩০), আবছার আলী (২৫), খায়রুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৮), আবদুর রাজ্জাক (৩৩) ও মো. মবিন (২৫)। বাকি ৬ জনের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম মুরুংঝিরি এলাকার সন্ত্রাসীরা কয়েকটি রবারবাগানে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে সেখানে কর্মরত ২৬ জন শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে মুরুংঝিরি এলাকার রাবারবাগানের মালিক মো. শাহাজাহান বলেন, ‘সকালে সন্ত্রাসীরা ৬টি বাগান থেকে ২৬ জনকে অপহরণ করেছে। এর মধ্যে তার বাগান থেকে ১২ জনকে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ি এই সন্ত্রাসীরা অপহরণের শিকার এক শ্রমিকের মুঠোফোন থেকে আজ বিকেলে আমাকে ফোন করেছিল। আমার বাগানের ১২ জন শ্রমিকের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে তারা।’
এ বিষয়ে লামা থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘কয়েকটি রবারবাগান থেকে ২৬ জন শ্রমিককে অপহরণের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। অপহরণকারীরা পাহাড়ি সন্ত্রাসী হতে পারে। ওই সন্ত্রাসীরা কিছুদিন আগেও সরই ইউনিয়নের বমুখালের আগা থেকে তামাকখেতের শ্রমিকদের অপহরণ করেছিল। উদ্ধার অভিযানে যাওয়া দল ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এ ইউ/
Discussion about this post