ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ডাকাত সর্দারসহ আরো দুইজন ডাকাত গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ। এর আগে একই ঘটনায় আরো ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের দেয়া তথ্যমতে গতকাল অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আলমগীরকে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে প্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪ হাজার দুইশত ১০ টাকা এবং দুটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায়, লুট করা মোবাইল সেট, ব্যবহার করা ছুরি ও মহিলাদের গহনা রাজিব হোসেনের কাছে জমা রয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকার আশুলিয়ার থানার ধানসোনা এলাকার পলাশবাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে রাজিবকে। এ সময় রাজিবের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল সেটসহ, গহনা ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে ৭দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিনঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্নস্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানী করে বাস থামিয়ে তারা বাস থেকে নেমে যায়।
ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বাস চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার বেলা এগারটার পরে যাত্রীরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। বাসের ডাকাতির শিকার ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় নেয়া হয়। এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলম (২৮) কে আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান।
এ ইউ/
Discussion about this post