সম্প্রতি পরিস্থিতি, রাজনীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন, ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। যেখানে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়েও কথা বলেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার স্ট্যাটাস দিলেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (০৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, অমর্ত্য সেনের বাংলাদেশ নিয়ে সাম্প্রতিক বক্তব্য
ভারতের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অনাকাঙ্ক্ষিত নাক গলানোর মতো কথা বলেছেন। জানি না তার বিবেক কোথায়? বাংলাদেশকে সহনশীলতার সবক দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি যে দেশে এবং সমাজে বসবাস করেন, সেই সমাজের আয়নায় নিজেকে দেখার চেষ্টা করুন।
বাংলাদেশের জনগণ টানা সাড়ে ১৫ বছর সেক্যুলারিজমের নামে চরম ভণ্ডামি প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে খোলামেলা ওকালতি করছেন, যা বিস্ময়কর, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।
জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যা বলেছেন তার বদ্ধমূল ধারণা থেকে বলতে চেয়েছেন। বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো। সংখ্যালঘু বলে তিনি যাদেরকে চিহ্নিত করেছেন, সেই সমস্ত ভাই-বোনদের ওপর নির্যাতনকারী দানবের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাহস থাকলে তা বলে দিন। পারবেন না। কারণ আপনারা সীমাবদ্ধ সুশীল।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সময়-অসময়ে নাক গলানো দেশপ্রেমিক জনগণ একেবারেই পছন্দ করেন না।
এর আগে, পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা জরুরি এবং অতীতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। আমি চাই, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা অব্যাহত থাকুক।
তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যালঘু ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বরাবরই সংখ্যালঘুদের ন্যায্য অধিকারের ব্যাপারে সচেতন এবং জামায়াতের মতো দলগুলোকে নজরদারিতে রাখে। তবে দুঃখজনকভাবে, ভারতেও মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ধরনের হামলা হোক বাংলাদেশ বা ভারত, বন্ধ হওয়া উচিত।’
এ ইউ/
Discussion about this post