চুয়াডাঙ্গায় টিসিবি ও ভিজিএফের কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত রফিক( ৪৮) তিতুদহ গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে। তিনি তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে তিতুদহ ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড দেয়া নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া গ্রুপ ও রফিক গ্রুপের সাথে।
এ সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে রফিকসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এরপরই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলেই ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক নিহত হন। আহত হয়েছেন রফিকের ভাই শফিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন।
দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত জানান, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে নেতৃত্বের লড়াই থাকবে, মতভেদ থাকবে। তাই বলে কাউকে মেরে ফেলতে হবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অবস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ও সেনাবাহিনীর একটি দল।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, টিসিবির পণ্য বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে সংঘর্ষের মূল কারণ উদঘাটনে থানা পুলিশ ও ডিবি (গোয়েন্দা) টিম কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post