টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচারকালে স্টুডিওতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বন্দুকধারী। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইকুয়েডরের বন্দরনগরী গুয়াইকিলে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় ওই অনুষ্ঠানের কর্মীদের মেঝেতে শুয়ে ও বসে পড়তে বাধ্য করে বন্দুকধারীরা। শোনা যায় গুলির শব্দও। একপর্যায়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। লাইভে এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে উৎকণ্ঠায় সময় পার করতে থাকেন স্বজনরা- কী ঘটতে যাচ্ছে তাদের আপনজনদের সাথে?
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের টেলিভিশন স্টেশন টিসিতে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। এ দিন স্টুডিওতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন বন্দুকধারী। সবাইকে বাধ্য করে মেঝেতে শুয়ে ও বসে পড়তে। এক দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারির পরদিন ঘটে এমন ঘটনা।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যদের ওই স্টুডিওতে ঢুকতে দেখা যায়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই টেলিভিশন স্টেশন থেকে কর্মীদের সরিয়ে আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে।
জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির দুর্ধর্ষ মাদক চক্র লস ক্রোনেরসের হোতা হোসে অ্যাডলফো মাসিয়াস গেল রোববার কারাগার থেকে পালিয়ে যান। ৪৪ বছর বয়সী মাসিয়াস ‘ফিতো’ নামেও পরিচিত। মাদক পাচার, খুনসহ সংঘবদ্ধ অপরাধের দায়ে তার ৩৪ বছরের সাজা হয়েছে।
পরদিনই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দানিয়েল নোবোয়া। ঘোষণা করেন ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা এবং রাত্রিকালীন কারফিউ।
টেলিভিশন স্টুডিওতে হামলার ঘটনার সঙ্গে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার যোগসূত্র আছে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। ২০২১ সালের পর থেকে ইকুয়েডরের কারাগারগুলোয় বিভিন্ন মাদক ও অপরাধী চক্রের সদস্যদের দাঙ্গা-হাঙ্গামায় প্রাণ গেছে চারশ’র বেশি বন্দির।
এফএস/
Discussion about this post