গত ১৮ জুলাই ঢাকার সাভারে ব্যাংক কলোনির সামনে গুলিবিদ্ধ আসহাবুল ইয়ামিনকে এপিসি গাড়িতে তোলে পুলিশ। এরপর তাকে গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলতে দেখা যায়। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এ ঘটনায় নতুন একটি মামলা দায়ের করেছে প্রসিকিশন।
আসহাবুলকে গ্রেফতারের সঙ্গে জড়িত ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানাভুক্তদের মধ্যে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেছিলাম। ট্রাইব্যুনাল আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ ১০ জনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা রয়েছেন।
এদিন রাজধানীর চানখারপুলে ৭ জনকে হত্যা মামলায় বিচারকের সামনে হাজির করা হয় কনস্টেবল নাসিরুলকে। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রসিকিউশন বলছে, ছাত্র-জনতার ওপর চায়নিজ রাইফেল দিয়ে ২৪ রাউন্ড গুলি করার প্রমাণ রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত চানখারপুল এলাকার একটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে নাসিরুল নামে একজন পুলিশ সদস্যকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর সে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেছিল। তার নামে থানা রেকর্ডে দেখা যায়, ৪০ রাউন্ড গুলি এবং একটি চাইনিজ রাইফেল ইস্যু করা হয়েছিল। সে তার অপারেশন শেষে মাত্র ১৬ রাউন্ড গুলি ফেরত দেয়। বাকিগুলো সে ছাত্র-জনতার উপর বর্ষণ করেছিল।
এখন পর্যন্ত জুলাই আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০টি মামলার দায়ের হয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।
এ ইউ/
Discussion about this post