আদনান বিন জামান তার সংগীতযাত্রা শুরু করেন ২০০৩ সালে। দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি বিভিন্ন ব্যান্ডের সাথে কাজ করেছেন এবং তার অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ২০০৮ সালে, তিনি নিজের ব্যান্ড “ডিস্ট্যান্স” গঠন করেন, যেখানে তিনি সুরকার ও গীতিকার হিসেবে কাজ করেন। ব্যান্ডটি “তুমি” ও “বৃষ্টি”-এর মতো গান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবি বিভাগের থিম সং “নতুন আলোরণ”-এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
২০১২ সালে ডিস্ট্যান্স ভেঙে যাওয়ার পর, আদনান অ্যাশেজ বাংলাদেশ-এ কিবোর্ড প্লেয়ার হিসেবে যোগ দেন। অ্যাশেজ -এ থাকাকালীন, তিনি “রেডিও ২ফান” এবং “দ্য ৬৯” নামে দুটি মিক্স অ্যালবাম সমন্বয় করেন, যেখানে “দ্য ৬৯”-এ আশেজের প্রথম গান “হীন” প্রকাশিত হয়। ২০১৪ সালে, আশেজ তাদের প্রথম অ্যালবাম “ছারপোকা” প্রকাশ করে, যা বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং ব্যান্ডটিকে বাংলাদেশের সংগীত জগতে অন্যতম শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়।
আশেজ ইতোমধ্যে ভারত, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, দুবাই ও ফ্রান্স-সহ ৮টির বেশি দেশে পারফর্ম করেছে এবং তাদের নিজেদের গান নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশে, তারা ৪৫টির বেশি জেলায় কনসার্ট করে রেকর্ড গড়েছে। তাদের ইউটিউব চ্যানেলে ১ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার, যা তাদের বিপুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ। বর্তমানে, আশেজ তাদের তৃতীয় অ্যালবাম “বিভ্রম” নিয়ে কাজ করছে এবং ২০২২ সালে সেরা ব্যান্ড পুরস্কার অর্জন করেছে। আদনান ব্যান্ডের কিবোর্ড প্লেয়ার ও ব্যাকআপ ভোকালিস্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
ব্যান্ডের সাফল্যের পাশাপাশি, আদনান একজন দক্ষ পিয়ানো ইন্সট্রাক্টর হিসেবে Yamaha Music Bangladesh-এ ২০২০ সালে যোগ দেন। সেখানে তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন এবং এখনো সৃজনশীল পরামর্শদাতা ও পিয়ানো ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজ করছেন। ব্যান্ডের বাইরেও তিনি তার সংগীতচর্চা অব্যাহত রেখেছেন। ২০১৯ সালে, তিনি “নিরব আত্মচিৎকার” গানটি প্রকাশ করেন, যা US-Bangla বিমান দুর্ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। পাশাপাশি, তিনি “Adnan Bin Zaman” নামে ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ-এ পিয়ানো টিউটোরিয়াল তৈরি করেন।
বর্তমানে, আদনান তার স্পটিফাই চ্যানেলে মনোযোগ দিচ্ছেন, যেখানে তিনি ইনস্ট্রুমেন্টাল কম্পোজিশন ও মৌলিক সৃষ্টি শেয়ার করেন। সংগীতের প্রতি তার ভালোবাসা ও নিবেদনই তার এই দীর্ঘ যাত্রার প্রকৃত পরিচয় বহন করে।
এম এইচ/
Discussion about this post