একাত্তরে ছাত্রলীগের চার নেতার নেতৃত্বে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখেন। এই চার নেতা হলেন- পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ এবং ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কদ্দুস মাখন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই চার নেতাকে বলা হতো `চার খলিফা’। ৪৮ বছর পর ছাত্রলীগ আবার সেই ‘চার খলিফা’ যুগে ফিরে এসেছিল। শেখ হাসিনা চারজনকে দলের খোঁজ-খবর রাখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
দলের চার খলিফাকে নিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম সামাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
পোস্টে নাজমুল বলেন, ‘চারজনকে নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছিল পার্টির খোঁজ-খবর রাখার, পরবর্তীতে তারা হয়ে গেল চার খলিফা। এমনকি তারা নিজেদের জাতীয় চার নেতার (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী) সঙ্গে নিজেদের তুলনা করা শুরু করল। এবং নানা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত হলো।’
‘সেই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩/এ তে বসে বসে নেত্রীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পার্টির মালিক সেজেছিল। অথচ তারা তাদের নির্বাচনি আসনটিতেই সামাল দিতে পারেনি। সেসময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা ৩/এ বাইরে রাস্তায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে পার্টি অফিস আগলে রেখেছিল তা না হলে…চামড়া একটারও থাকতো না।’
নাজমুল লেখেন, ‘আমাদের সাবেক নেতাদের বলে গেল নেত্রীর কাছে যাচ্ছে বলে পালিয়ে চলে গেল অথচ একবারের জন্যও খবরও নিল না। বললোও না যে, তোমরা চলে যাও। তার পরদিন তো সব শেষ।
তিনি আরও লিখেন, এই ছিল অবস্থা, মুখ খুললে কিন্তু ল্যাংটা হয়ে যাবে একেকটা। সুতরাং এতো ভাব আর চক্ষুগরম দেখায়েন না। কার বউ পোলাপান কোন দেশে কত বছর, কীভাবে রাজকীয় হালে থাকে। কোনো কিছুই অজানা নেই, শুধু কর্মীরা জানে না।
এম এইচ/
Discussion about this post