থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি। শুক্রবার (২১ মার্চ) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বিমসটেকের সাইড লাইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে দিল্লি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই মুহূর্তে বৈঠকের বিষয়ে কোনো আপডেট নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ভারতের গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস দাবি করে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে দেখা হতে পারে। কিন্তু তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যে বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে, সেটি নাও হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যমটি।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তবে সে সময় দুই নেতার বৈঠকটি হয়নি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক পেতে গত বুধবার (১৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হয়। তবে সেই চিঠির সাড়া এখনও পায়নি ঢাকা। ফলে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না। বৈঠকটি হলে এটিই হবে অন্তর্বর্তী সরকারে শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।
আগামী ২-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এ বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ৩ এপ্রিল ব্যাংকক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলন শেষ করে আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার।
এ ইউ/
Discussion about this post