প্রতিবছর ঈদের সময় ১৫–২০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নোট বাজারে ছাড়া হয় প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায়। বাজার থেকে সমপরিমাণ পুরোনো নোট তুলে নেওয়া হয়।
১০ মার্চ নতুন নোট বিতরণ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, ঈদ উপলক্ষে ১৯ মার্চ থেকে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকে টাকার নতুন নোট বিতরণ নেই। কোনো কোনো শাখায় ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকার নতুন নোট মিলছে। ঈদের সালামি হিসেবে ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকা খুব বেশি জনপ্রিয় নয়।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার ব্যবস্থাপকের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, তাঁর ব্যাংকের শাখায় গড়ে ২০০ কোটি টাকার মতো আমানত থাকে। প্রতিবছর ঈদের সময় এ শাখায় ৩০-৪০ লাখ টাকার নতুন নোট পাওয়া যায়। ব্যাংকের আমানতের অনুপাত অনুসারে নতুন নোটের সরবরাহ করা হয়। এবার নতুন নোট বিতরণ স্থগিত থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রতিদিন গ্রাহকেরা নতুন নোটের জন্য আসেন। কিন্তু দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এস এইচ/
Discussion about this post