যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সিসিআই কার্যক্রমের আওতায় ১৮টি দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিটি কলেজ ইনিশিয়েটিভ (সিসিআই) কার্যক্রমের আওতায় ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে কমিউনিটি কলেজে পড়াশোনার জন্য আবেদন চলছে।
বাংলাদেশের স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আমেরিকান একটি কমিউনিটি কলেজে পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রে এক শিক্ষাবর্ষে থাকার জন্য কোনো একটি কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতে পারবেন। পড়াশোনা শেষে নতুন জ্ঞান, কারিগরি দক্ষতা ও বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা আবার দেশে ফিরে আসতে পারবেন। ২০০৭ সাল থেকে এই কার্যক্রমের আওতায় ২৪টি দেশের প্রায় চার হাজারের মতো শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আর ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৬ শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কলেজে অধ্যয়নের জন্য বৃত্তি পেয়েছেন।
কমিউনিটি কলেজ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির অধীন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিটি কলেজগুলোতে কৃষি, ফলিত প্রকৌশল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন, প্রাক্-শৈশব শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সামাজিক সেবা, স্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা এবং পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের সামর্থ্য ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমেরিকান সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ও বোঝাপড়া আরও স্বচ্ছ ও গভীর করাই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
সিসিআই কার্যক্রমে যে যে সুবিধা মিলবে—
- নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন জে-১ ভিসা;
- এ ভিসার আওতায় সীমিত দুর্ঘটনা ও অসুস্থতাজনিত কাভারেজ;
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে যাতায়াতের জন্য রাউন্ড ট্রিপ ভ্রমণসুবিধা;
- টিউশন ও কলেজ ফি;
- আবাসন ও খাবার;
- বই, শিক্ষা উপকরণ ও সাধারণ ব্যয়ের জন্য আর্থিক সুবিধা।
সিসিআইয়ে আবেদনের যোগ্যতা—
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের দ্বৈত নাগরিক বা স্থায়ী অভিবাসী হওয়া যাবে না;
- ২০২৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮ বছর;
- উচ্চমাধ্যমিক/এ লেভেল পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন অথবা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম থেকে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি আছেন;
- ইংরেজি ভাষায় লেখা ও কথা বলায় পারদর্শী হতে হবে এবং TOEFL স্কোর ৪২০ বা IELTS স্কোর ৫.০ পেতে সক্ষম হতে হবে। ইতিমধ্যে TOEFL বা IELTS-এর স্কোর থেকে থাকলে, সেটি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আবেদনের আগে ইংরেজি পরীক্ষার স্কোর থাকলে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় সুবিধা পাওয়া যাবে;
- যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে আগ্রহী ও সমর্থ হতে হবে;
- যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সীমিত বা নেই। বিদেশে অধ্যয়ন বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে;
- যুক্তরাষ্ট্রের জে-১ ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন এবং এ মর্যাদা বজায় রাখতে এ কার্যক্রমের শর্তাবলি পূরণ করতে হবে;
- কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে ফিরতে এবং জে-১ ভিসার আবশ্যকতা অনুযায়ী দুই বছর দেশে থাকার শর্ত পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ;
২০২৫ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিময় কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আবেদনকারী কোনো অভিযোগে গ্রেপ্তার হলে বা কখনো দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এফএস/
Discussion about this post