পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের আইনজীবী জানান, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় আবাসন সুবিধা থাকার তা গোপন করে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। কোনোরকম আবেদন ছাড়াই মা শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ১৭ নম্বর প্লট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন।
অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের জন্য ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ মামলা করা হয়। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ প্রদান ও গ্রহণ করেন। যা দুর্নীতি হিসাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে মামলা করা হবে।
এ ইউ/
Discussion about this post