নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত দেড়টায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও লাকড়ি রাখার ঘরে এ আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরে বোদা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তাদের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার মূল বসতবিটার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাদ্দাম হোসেনের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও লাকড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, মধ্য রাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময় মতো তারা না এলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগত। আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছে। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই প্রশাসন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই প্রিন্স বলেন, সোমবার রাতে ১টার দিকে আমাদের বাড়ির উত্তর পাশের ঘরে আগুন লাগে। পরে চাচতো ভাইয়ের চিৎকার শুনে বের হই। জীবন বাঁচানোর জন্য আমার বাবা-মা ও আমার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বের হই। আগুন ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী সবাই মিলে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, সাদ্দামের বাড়ির পাশে আমার বাসা। রাতে চিৎকার শুনে আমি এখানে আসি এসে দেখি খড়ের ঘরে আগুন লেগেছে। আমরা গ্রামের মানুষ সবাই মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির সংলগ্ন তাদের খড় ও খড়িঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটোয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পুড়ে যায় পুরো বাড়ি। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয় বলেও দাবি করে পরিবারটি।
এ ইউ/
Discussion about this post