ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতির আলোচিত মুখ ও বিজেপির ‘একরোখা নেতা’ হিসেবে পরিচিত দিলীপ ঘোষ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। ৬১ বছর বয়সে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। পাত্রী তারই রাজনৈতিক সহকর্মী, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে কলকাতার সল্টলেক নিউটাউনের আবাসনে। ঘরোয়া পরিবেশে, আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই বিয়ে। বরযাত্রা কিংবা বড় কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। বর দিলীপ ঘোষের গ্রামের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে হলেও তিনি বর্তমানে সল্টলেকের একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন। তার মা ইতোমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন এবং বিয়ের পর কিছুদিন ছেলে-বৌমার সঙ্গে থেকে পুনরায় গ্রামে ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে।
বহু বছর ধরে ‘চিরকুমার’ তকমা বহন করা দিলীপ ঘোষের এই বিয়েকে ঘিরে বিজেপির অন্দরেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি, যেখানে শপথ ছিল আজীবন অকৃতদার থাকার। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন এবং ২০১৫ সালে হন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পেয়ে রেকর্ড গড়ে বিজেপি।
এই বিয়ে নিয়ে দিলীপ ঘোষ কোনো মন্তব্য না করলেও তার হবু স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার খোলামেলা জানিয়েছেন তাদের সম্পর্কের গল্প। তিনি বলেন, ‘দিলীপদাকে অনেকদিন ধরেই চিনি, ভালোও লাগে। গত সেপ্টেম্বর মাসে আমি প্রথম তাকে প্রপোজ করি। তিনি তিন মাস সময় নিয়েছিলেন ভাবার জন্য। এখন সেই সময় শেষ হলো।’
বিজেপির মহিলা মোর্চার সাবেক নেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরী তাদের নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দিলীপদার দাম্পত্য জীবন যেন সুখী ও আনন্দময় হয়।’
বিয়ের খবরে দলীয় নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে অনেকেই এটিকে দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিজীবনের নতুন রঙিন অধ্যায় হিসেবে দেখছেন।
এম এইচ/
Discussion about this post