বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে চীন ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে চীনের সহায়তার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন।
নূরজাহান বেগম বলেন, “বাংলাদেশ চীনের জন্য স্বাস্থ্যখাতের একটি সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠতে পারে। চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।” তিনি উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় বাংলাদেশ চীনের থেকে সবচেয়ে বেশি টীকা সংগ্রহ করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার একটি বড় উদাহরণ।
এছাড়া, ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণে চীনের সহযোগিতার কথা বলেন তিনি। চীনের সহায়তায় নির্মিতব্য ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আলোচনা চলমান রয়েছে বলেও জানান নূরজাহান বেগম।
চীনা রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরকে সফল বলে উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিকরা চিকিৎসার জন্য চীনে সহজেই যেতে পারবেন।
এই সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। চীনের এই সহায়তা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং জনগণের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবার সুযোগ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতের সহযোগিতা বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে, যা আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ইউ/
Discussion about this post