বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
হাফিজ আহসান ফরিদ বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট’ (এমএলএআর) বলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি দূতাবাসে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। তাকে যেসব চিঠি পত্র দেওয়া হয়েছে, তা তার বাংলাদেশি ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে। তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছি না। মামলা যখন হয়ে গেল, তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে হাফিজ আহসান ফরিদ বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনও কমিশনে আলোচিত হয়নি।
এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়, এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি পর্যায়ে রয়েছে। চুক্তি হয়ে গেলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করা হয়।
এম এইচ/
Discussion about this post