বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কোহিনূর ক্যামিকেল কোম্পানির শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তিব্বতের প্রধান সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। পরে তারা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক ডিভাইডার ভেঙে এবং ট্রাফিক বিভাগের ব্যারিকেড দিয়ে আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
তাদের অভিযোগ, কোহিনূর ক্যামিক্যাল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা রাসুলুল্লাহ (সা.)কে নিয়ে আজেবাজে ও কটূক্তিকর মন্তব্য করেছেন। তার ফাঁসির প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা আরও দাবি করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযোগকারীকে ফাঁসি দেওয়া না হবে ততক্ষণে পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।
পুলিশ ও কোহিনূর ক্যামিক্যালের সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কোহিনূর ক্যামিক্যালের কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. শামীমুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল কোহিনূর ক্যামিক্যালের এক কর্মকর্তা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবুও তারা সড়ক ছাড়ছেন না। তাদের দাবি অভিযুক্তকে ফাঁসি দিতে হবে।’
ওসি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আমি এবং আমাদের ডিসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলেছি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাটির জিএমও কথা বলেছেন। তারা বলছেন অভিযুক্তকে এখনই ফাঁসি দিতে হবে। আসলে এই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তৃতীয় কোনও পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। যার ফলে তারা কোনও আইন মানতে চাইছেন না।’
এদিকে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সদস্যরাও রয়েছেন।
সর্বশেষ বিকাল পৌনে ৫টায় পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
এম এইচ/
Discussion about this post