চার দিনের কাতার সফর এবং পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় রোববার দুপুর দেড়টায় তিনি ইতালির রাজধানী রোম ত্যাগ করেন। এরপর সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টায় তাকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।
এর আগে, শনিবার বিশ্বনেতাদের সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। আগের দিন তিনি কাতারের দোহা থেকে রোমে যান। এর আগে তিনি শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে রোমে পৌঁছান।
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর শনিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের দুই শীর্ষ নেতা-কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি ও কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড। তারা পোপ ফ্রান্সিসের দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নের স্মৃতিচারণ করেন।
পাশাপাশি, ড. ইউনূসের কাজের জন্য তাকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাথলিক চার্চের দুই ওই শীর্ষ নেতা। এ ছাড়া তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যবিরোধী আন্দোলনে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান তারা।
শনিবার ভ্যাটিকানে জাতিসংঘ অফিসের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসিও ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান উপদেষ্টা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে কার্ডিনাল তোমাসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ?’ শিরোনামে আল জাজিরাকে দেয়া তার সাক্ষাৎকার রোববার প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমটি।
এতে ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না, বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।
এস এইচ/
Discussion about this post