মস্কোয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জমকালো সামরিক কুচকাওয়াচে অংশ নেওয়ার পর বেইজিং জানিয়েছে, চীন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘প্রায়োগিক সহযোগিতা’ বাড়াতে প্রস্তুত।
বেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেইজিং ও মস্কোর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে কিয়েভের মিত্ররা। তাদের অভিযোগ, বেইজিং রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সহায়তা দিচ্ছে, যা মস্কোর আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার পথ সহজ করছে।
তবে চীন দাবি করেছে, তারা এই সংঘাতে নিরপেক্ষ পক্ষ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শি’র সফরের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) চীন-রাশিয়ার সামরিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং বিন বলেন, ‘চীন ও রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক বর্তমানে উচ্চমাত্রার পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চীনা সেনাবাহিনী রুশ পক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কৌশলগত আস্থা গভীরতর করতে, কৌশলগত যোগাযোগ বাড়াতে এবং ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে কাজ করতে প্রস্তুত।’
জিয়াং বলেন, এ পদক্ষেপ নতুন যুগের জন্য চীন-রাশিয়া সর্বাঙ্গীণ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়বস্তু আরও সমৃদ্ধ করবে এবং বিশ্ব কৌশলগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও জোরদার করতে অবদান রাখবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর শি বলেন, বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যে চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক ইতিবাচক শক্তি নিয়ে এসেছে। উভয় দেশ ‘আধিপত্যবাদী তর্জন-ভর্জনের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছে।
এম এইচ/
Discussion about this post