ভারতের মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলায় তৃতীয় বর্ষের এক এমবিবিএস ছাত্রীকে তার দুই সহপাঠী এবং তাদের এক বন্ধু পানীয়তে স্পাইক মিশিয়ে দেয়ার পর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ মে) এ তথ্য জানিয়েছে পুনে পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এ ঘটনায় ৩ জনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসামীদের ২৭ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গণমাধ্যমটি বলছে, গত ১৮ মে রাত ১০টার দিকে একটি থিয়েটারে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করার সময় ২২ বছর বয়সী ওই মেডিকেল ছাত্রীকে টার্গেট করা হয়। সিনেমা দেখতে যাওয়ার পথে, অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীকে কিছুক্ষণ থামিয়ে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।
মদ্যপ অবস্থায় থাকা অভিযুক্তরা তাকে খেতে দেয় স্পাইকযুক্ত পানীয়। পান করার পর অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। ভুক্তভোগী ছাত্রী এমনটি পুলিশকে জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী এই তিনজন তার ওপর নির্যাতন চালায় এবং এ বিষয়ে কথা বললে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দেয় বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
কর্ণাটকের বেলাগাভির বাসিন্দা ওই ভুক্তভোগী পরে তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়, এরপর তারা বিশ্বরামবাগ থানায় দ্বারস্থ হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং অন্যান্য অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগকারীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করছে এবং আরও তদন্ত চলছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এস এইচ/
Discussion about this post