‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যকা। আজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে মিনায় পৌঁছতে শুরু করেছেন হাজিরা। সৌদি হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত চার লাখের বেশি হাজি মিনায় অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা।
জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো শেষ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হাজিরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।
মিনায় রাত যাপন শেষে ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা। এবার খুতবা দেবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। হাজিদের আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়।
৯ জিলহজ শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন করে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন।
সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
এম এইচ/
Discussion about this post