জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত মোট তিন দিন কুরবানির সময়। তবে সবচেয়ে উত্তম হলো প্রথম দিন কুরবানি করা। এরপর দ্বিতীয় দিন এরপর তৃতীয় দিন। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫।
যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টি বাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয় তাহলে ঈদের নামাজ আদায় পরিমাণ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কুরবানি করা জায়েজ।-সহিহ বুখারি ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮; সহিহ মুসলিম ২/১৫৪।
যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে কুরবানির পশু জবাই করবে সেটা তার নিজের জন্য সাধারণ জবাই হবে। আর যে নামাজ ও খুতবার পর জবাই করবে তার কুরবানি পূর্ণ হবে এবং সে-ই মুসলমানদের রীতি অনুসরণ করেছে। -সহিহ বুখারি ২/৮৩৪; সহিহ মুসলিম ২/১৫৪।
শরিকে কুরবানি করলে ওজন করে মাংস বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নয়। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১।
কুরবানির গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত নিজে রেখে দেওয়াও জায়েজ। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০।
এস এইচ/
Discussion about this post