ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে যে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের ঘোর বিরোধী এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি।
হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলসহ বেশ কিছু দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারপর থেকেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজায় চলমান আগ্রাসনের মধ্যেই সম্প্রতি ইরানেও হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রায় ১০ দিন ধরে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছে। এর মধ্যেই শনিবার মধ্যরাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার দাবি এসব পারমাণবিক স্থাপনা ধব্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ‘সম্পূর্ণ এবং পুরোপুরি ধ্বংস’ হয়ে গেছে। তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, তেহরান যদি শান্তি স্থাপন না করে তবে আরও হামলা চালানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই হামলাকে চলমান সংঘাতের তীব্রতার ‘ভয়াবহ বৃদ্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গুতেরেস বলেছেন, এখন সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে ‘বেসামরিক নাগরিক, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের’ জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
ওই পোস্টে গুতেরেস লিখেছেন, এই মুহুর্তে ‘শুধুমাত্র কূটনীতির মাধ্যমে’ এই সমস্যার সমাধান করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
এম এইচ/
Discussion about this post