বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেছেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কাছে অস্ত্র পাওয়া আইনগতভাবে গুরুতর অপরাধ। এ বিষয়ে কঠোর তদন্ত ও তার বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক আলোচনায় নিলুফার মনি বলেন, “আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মধ্যেও পড়ে। তার কাছে থাকা অস্ত্র ছিল গুলিভর্তি, যেটা সাধারণ নাগরিকের পক্ষে বৈধভাবে রাখা সম্ভব নয়। আমি নিজে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় অস্ত্র লাইসেন্সের জটিলতা দেখে পিছিয়ে এসেছিলাম। অথচ একজন সাবেক হলের ডালভাত খাওয়া ছাত্র মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেল, তা আমার বোধগম্য নয়।”
তিনি বলেন, “তার কি টিন সার্টিফিকেট ছিল? এই সার্টিফিকেট ছাড়া লাইসেন্স পাওয়া সম্ভব নয়। টিন সার্টিফিকেট করতে হলে পরপর তিন বছর ফি দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর এসব থাকে না। তাহলে তার অস্ত্রের লাইসেন্স কীভাবে হলো, এটা জানার অধিকার আমাদের রয়েছে।”
নিলুফার মনি আরও বলেন, “যারা ভালো কিছু করার উদ্দেশ্যে এসেছিল, তারাই আজ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আসিফ মাহমুদের এপিএস-এর বিরুদ্ধেও কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অথচ এই ঘটনায় দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো আশানুরূপ ভূমিকা রাখছে না। এখনও যদি সংবাদপত্রগুলো মেরুদণ্ড সোজা করে না দাঁড়ায়, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হবে কীভাবে?”
তিনি দাবি করেন, আসিফ মাহমুদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত এবং সরকারের উচিত এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দ্রুত তার বিচার নিশ্চিত করা।
এস এইচ/
Discussion about this post