প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৈধপথে দেশে রেমিটেন্স প্রেরণ ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানালেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ বিষয়ক এক সেমিনারে হাইকমিশনার এ আহ্বান জানান।
এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দীর্ঘমেয়াদে এই স্কিমের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশ উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র এ স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের বিনিয়োগকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহারসহ নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মাসিক পেনশনের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আল্লামা সিদ্দীকী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের জন্য পৃথক স্কিম চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাংকিং পদ্ধতিকে সহজতর করারও অনুরোধ করেন।
সেমিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিন সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনও বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশনের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতি মাসে টাকা জমা দিতে হবে, ন্যূনতম ১০ বছর টাকা জমা না দিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। ৬০ বছর হওয়ার পর পেনশন পেতে শুরু করবেন।
মানুষের পেশা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে সরকার চারটি স্কিম ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো-প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যক্তিকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এজন্য ‘ইউপেনশন’ (https://www.upension.gov.bd) নামে ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।
এ এস/
Discussion about this post