ঘড়ির কাটাটা ১২টার ঘরে পৌঁছানো মাত্রই অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত হঠাতই হয়ে উঠলো রঙিন। ফানুসের আলো দূর আকাশে যেন শত শত তারার মেলা। আতবাজির শব্দে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সব খানে। অতিতের সব গ্লানি ভুলে ২০২৩ কে বিদায় দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর ২০২৪ কে। স্বাগত নতুন বছর। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেল আরেকটি বছর। মহাকালের আবর্তে বিলীন হলো ২০২৩ সাল। পুরোনো বছরের সকল দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন আশা নিয়ে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও ২০২৪ সালকে বরণ করে নেয় দেশের মানুষ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির পক্ষ থেকে ইংরেজি নতুন বছর বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশনায় নগরবাসীকে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস না ওড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি খুব একটা। নিজেদের মতো করে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় নগরবাসী।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২৪’ উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে দেশের মানুষ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য বার্তা পাঠানো মাধ্যমে তাদের প্রিয়জন ও বন্ধু-বান্ধবদের শুভ কামনা জানিয়েছেন।
বাঙালি জাতির কাছে বাংলা নববর্ষ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তবে ইংরেজি সাল গণনা করেই চলে আমাদের অধিকাংশ কর্মকাণ্ড। ব্যক্তিগত জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় কাজে সর্বত্র ইংরেজি সালের ওপর নির্ভরশীল।
নতুন বছরে পুরোনো সব অনিশ্চয়তা, ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে আশায় বুক বাধে মানুষ। নতুন করে স্বপ্ন দেখে, প্রত্যাশা করেন নতুন কিছুর। ভালো কাটুক নতুন বছর এমন প্রত্যাশা সবার।
Discussion about this post