২০১৪-তে যখন রাজকুমার হিরানির আমির খান অভিনীত ‘পিকে’ মুক্তি পেয়েছিল, তখন ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ‘পিকে’ হিন্দু ধর্ম বিরোধী এবং ‘লাভ জিহাদ’ প্রচার করছে, এ রকম অভিযোগও উঠেছিল। ‘পিকে’ এক ভিনগ্রহের প্রাণীর গল্প, যে মানুষের যাপন তথা সমাজ বুঝতে গিয়ে তাদের ধর্মীয় আচরণ ও কুসংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
যথারীতি ছবিতে লেখক-পরিচালক রাজু হিরানি ধর্মগুরু ও অন্ধবিশ্বাস নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। এই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া টিভি’ চ্যানেলের শো ‘আপ কি আদালত’-এ আমির খান এই প্রসঙ্গে বলেন ‘পিকে কোনও ধর্ম নয়, ধর্মের নামে প্রতারণা করা লোকেদের সমালোচনা করেছে।’
আমির আরও বলেন, ‘আমরা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সব ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের সম্মান করি। ছবিটির উদ্দেশ্য ছিল কেবল এই—যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।’
‘লাভ জিহাদ’ অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়ে আমির জানান যে তার মেয়ে এবং বোনেরা হিন্দু পুরুষদের বিয়ে করেছেন। এমনকি তার দুই হিন্দু স্ত্রীও তাদের সন্তানের মুসলিম নাম রেখেছেন।
আমিরের অভিনেত্রী বোন নিখত বিবাহিত সন্তোষ হেগড়ের সঙ্গে। আমিরের বোন ফারহাতের স্বামী হলেন রাজীব দত্ত। তার কন্যা ইরা খান গত বছর নূপুর শিখরকে সঙ্গে বিয়ে করেছেন। আমির নিজে বিয়ে করেছিলেন দুই হিন্দু মহিলাকে—রিনা দত্তকে ১৯৮৮-এ এবং কিরণ রাওকে ২০০৫ সালে।
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী এবং হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া আমির জানান, তিনি একইসঙ্গে মুসলিম ও ভারতীয় হওয়া নিয়ে গর্বিত।
তিনি ওই শোতে বলেন, ‘আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দু’টোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।’
এম এইচ/
Discussion about this post