বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সিগঞ্জে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলায় এজাহার ভুক্ত এক আসামিকে জামিন দেয়ার প্রতিবাদে জজ কোর্ট ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের সঙ্গে হট্টগোল সৃষ্টি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এ সময় উত্তেজিত এক আইনজীবীর হামলায় আহত হয় আজিম (২৪) ও জিহাদ (২৩) নামের দুই শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মুন্সিগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জের ব্যানার নিয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত ঘেরাও করে মামলার মূল আসামিদের জামিন দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে আইনগত কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি পলাতক বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে নিহতদের পরিবারের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করার জোরালো দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
একই সময় শীঘ্রই দাবি আদায় না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ডিপজল ও সজল মোল্লা নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলকে দুপুরে জামিনের আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী মোহাম্মদ হান্নান। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এরপর তাৎক্ষণিক দেয়া হয় জজ কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি। পরে দুপুর তিনটার দিকে সিনিয়র আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ থেকে সরে দাঁড়ান শিক্ষার্থীরা। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জামাল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আদালত চত্বরে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইশতিয়াক সম্রাট নামের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির সংশ্লিষ্টদের কাছে।
এ ইউ/
Discussion about this post