যাত্রীর চাপ নেই রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। টার্মিনালে এলেই মিলছে টিকিট।
শুক্রবার (৬ জুন) সরেজমিনে গিয়ে যাত্রী ও পরিবহনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব কাউন্টার ফাঁকা। দুয়েকজন করে টিকিট কাটতে আসছেন।
বরিশালগামী নাবিল পরিবহন, কুষ্টিয়াগামী শ্যামলী পরিবহন, যশোরগামী এমএম পরিবহন ও গোল্ডেন লাইনসহ প্রায় সব ধরনের পরিবহনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে গন্তব্যের দূরত্ব ভেদে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরে যাবেন হাবিব। আগে টিকিট কাটেননি। গাবতলীতে এসেই টিকিট পেয়ে গেছেন। কিন্তু ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। তাতেই রাজি তিনি।
গোপালগঞ্জমুখী সোহাগ পরিবহনের সিট খালি নেই, আগে থেকেই বুক। গাড়িটিও ভাড়া বাড়িয়েছে ১০০ টাকা।
কুষ্টিয়ামুখী শ্যামলী পরিবহনের সিট খালি আছে, তবে জ্যামের কারণে গাড়ি ফেরেনি। সেজন্য আজ যারা কুষ্টিয়া যাবেন তাদের কাছে সময় উল্লেখ করে টিকিট বিক্রি করতে পারছেন না।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রাজিব জানান, জ্যাম কমলে ও গাড়ি এলে টিকিট বিক্রি করা হবে।
শ্যামলী পরিবহনও ৬৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা নিচ্ছে। সব ঈদেই কুষ্টিয়াগামী শ্যামলী পরিবহন ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা নিয়ে থাকে। কুষ্টিয়াগামী ফাতেমা, হানিফসহ অন্যান্য গাড়িতেও ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সজীব। যাবেন চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার ভাড়া সাড়ে ৬০০ টাকা। ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত অথবা বিআরটিএর ভিজিলেন্স টিমে অভিযোগ করেছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগ করে কাজ হয় না। যেদিন টিকিট কেটেছি সেদিনই মাজার রোডের ওইদিকে একটি কাউন্টারকে জরিমানা করেছিল। ওইদিনই আমার কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়েছে। এজন্য আমি আর অভিযোগ করিনি।
বাড়তি ভাড়া নিলেও কোনো যাত্রী অভিযোগ করেনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) টিম বা ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। এমনটাই জানালেন গাবতলীতে অবস্থানরত বিআরটিএর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম জাকারিয়া।
এস এইচ/
Discussion about this post