সদ্য সমাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে রিট করে নতুন করে নির্বাচন চেয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ। গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২০২৪-২৬ মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
নির্বাচনে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। অন্যদিকে ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তার চেয়ে ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার (নিপুণ)।
বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নিপুণ। রিটে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট করেন।
তবে বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না অভিনেতা মিশা সওদাগর। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে এ বিষয়ে মিশা সওদাগর দেশের একটি সংবাদপত্রকে বলেন, আসলে আমি এখনো হাতে কোনো কাগজ পাইনি যে এটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। তাছাড়া নিপুণ আমার ছোট বোন। ছোট বোন এমন কাজ করতে পারে আমি ভাবতেই পারি না। আমার মনে হচ্ছে এটা সম্ভব নয়, আর নিপুণ তো আমেরিকায় সে কীভাবে এটা করে।
তিনি বলেন, আমি একজন অভিনেতা। দীর্ঘ ক্যারিয়ার আমার। ফলে কাগজ পাওয়া ছাড়া এ বিষয়ে একেবারে মন্তব্য করব না। কারণ আইনি বিষয়ে অনুমান নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটেই থাকে তাহলে আমার আইনজীবী আছেন সেটা তিনি দেখবেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন পরাজয়ী নিপুণ। কিন্তু নির্বাচনের ২৬ দিন পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ।
এ এস/
Discussion about this post