ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের নাম ও পরিচয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীও রয়েছেন, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ ত্যাগ করার ফলে এখনো হলে রয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতদের মধ্যে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক উপ- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল আহমেদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রাশেদ কামাল, আব্দুস সামাদ, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সুলতান, গণিত বিভাগের রাব্বি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সুমন ও সাকলাইনসহ কয়েকজন রয়েছেন। এদের সবাই ঢাবির বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থী।
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফজলুল হক মুসলিম হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটক করে। পরে তাকে হলে নিয়ে গিয়ে কয়েক দফা মারধর করা হয়। রাত ১২টার দিকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন এবং তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলি ইউনিয়নে। তবে তার সঙ্গে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ঘটনার পরপরই ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষকে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, যার সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
এ ইউ/
Discussion about this post