বাংলা একাডেমির সভাপতি নিয়োগ পেয়েছেন বুদ্ধিজীবী, প্রথিতযশা প্রাবন্ধিক ও বরেণ্য গবেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ এর ধারা ৬(১), ধারা ৬(২) ও ধারা ৬(৩) অনুযায়ী এ নিয়োগ দিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিন বছরের জন্য তিনি এ নিয়োগ পেয়েছেন।
কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সভাপতির দায়িত্ব এবং অন্যান্য কার্যাবলি ‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে।
জীবনের চার দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন ৮৪ বছর বয়সী আবুল কাসেম ফজলুল হক। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতে সোচ্চার ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা রক্ষা কমিটি’র আহ্বায়ক তিনি।
সালের ৩ ফেব্রুয়ারি একাডেমির সভাপতি পদে দায়িত্ব পাওয়া কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ অক্টোবর পদত্যাগ করেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘আমি এখনো চিঠি হাতে পাইনি। হয়তো আমার দপ্তরে পাঠিয়ে থাকতে পারে।
তবে যারা আমাকে এই পদে মনোনীত করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে এটাও বলব, বাংলা একাডেমি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক মননের জাতীয় প্রতিষ্ঠান।
কিছু সংকীর্ণ লোকজন এটি পরিচালনা করার কারণে ধীরে ধীরে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।
এটি যেন জাতীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকতে পারে এবং বাংলা একাডেমির যে কাজ, তা যেন করতে পারে।’
আবুল কাসেম ফজলুল হকের দুই সন্তান অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন ও ফয়সল আরেফিন দীপন। শুচিতা শরমিন বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ফয়সল আরেফিন দীপন জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দীপনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
এ ইউ/
Discussion about this post