মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সফরকালে তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসনের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকানদের সংঘাত চলছে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে দেয়ার জন্য বাইডেনের ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্যাকেজ এখনো অনুমোদন করেনি মার্কিন কংগ্রেস। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কংগ্রেসে এই প্যাকেজ অনুমোদিত না হলে, ইউক্রেনকে কোনো সাহায্য করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন এবং বাইডেনের সঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থসাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
বাইডেনের মতে, ইউক্রেনের সহায়তা ছাড়ে সম্মত না হওয়া হবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য ‘উপহার’। রিপাবলিকানদের উদ্দেশ্যে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার স্বার্থ থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, ইতিহাস তাদের কঠোরভাবে বিচার করবে।
কিছুদিন আগে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের। শোনা যায়, সেই বৈঠক থেকে রাগান্বিতভাবে বের হয়ে গিয়েছিলেন কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা। তবে মঙ্গলবার সব মার্কিন সিনেটরের উপস্থিতিতেই একটি বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি প্রথমে আর্জেন্টিনা গেছেন, সেখানে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তারপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সূত্র উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, মঙ্গলবার জেলেনস্কি সেনেটরদের কাছে ভাষণ দেবেন।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাইডেন এবং জেলেনস্কি ইউক্রেনের জরুরি সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করবেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের এই সংকটময় মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকার গুরুত্ব নিয়েও কথা বলবেন তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, এই সফরে জেলেনস্কি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবেন ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে। বিশেষ করে অস্ত্র তৈরির যৌথ প্রকল্প ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী দিনে দুই দেশ কী ভাবে একে অপরকে সহয়োগিতা করবে, সেই বিষয় নিয়েও কথা হবে।
রোববার জেলেনস্কি আর্জেন্টিনায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে দেখা করেন। রয়টার্স জানাচ্ছে, হাভাসি মেল মারফৎ তাদের জানিয়েছেন, অরবান জেলেনস্কিকে বলেছেন, ইইউ-তে ইউক্রেনকে সামিল করা নিয়ে সমানে আলোচনা হচ্ছে। ইউক্রেনকে ইইউ-তে সামিল করতে গেলে সবকটি দেশকে একমত হতে হবে। হাভাসি হলেন অরবানের প্রেস সংক্রান্ত প্রধান। আগামী সপ্তাহে ইইউ-র বৈঠক আছে।
Discussion about this post