ইরান-ইসরায়েল সংঘাত অষ্টম দিনে প্রবেশ করেছে। দুই দেশ নিয়মিতভাবে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে এবং একে অপরের দিকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। চলমান সংঘাতে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। এমনকি তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইরানের উপর সরাসরি আক্রমণ চালানোর কথাও বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি তার অন্যান্য মিত্রও ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, তেমনটা হলে ইরানের মিত্রশক্তিগুলোও এ সংঘাতে জরিয়ে পড়তে পারে, যার ফলে আরেকটি মহাযুদ্ধের অবতারণা হতে পারে বিশ্বের বুকে।
এ অবস্থায় ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান এ সংঘাত ও তার ভবিষ্যত নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
শুক্রবার (২০ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জার্মান চ্যান্সেলরকে কঠিন এক সতর্কবার্তা দিয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
ফ্রিডরিখ মের্জকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ক্রমবর্ধমান এই সংঘাতের ফলে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে, যা ইউরোপ এবং এশিয়া উভয়কেই প্রভাবিত করবে।
এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলার ফলে সৃষ্ট সহিংসতার ফলে অভিবাসন এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুরির সম্ভাবনার দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে ইউরোপের।
জার্মান মুখপাত্রের মতে, দুই নেতাই মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা রোধে তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Discussion about this post