বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ক্ষমতাসীন জান্তার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ নিয়ে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাবেক ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। আমাদের সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।’
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই সেখানকার একমাত্র সমাধান বলে তাদের জানিয়েছি। বাংলাদেশ আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দেবে না।
মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বুচিডং বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরটি দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইন থু খা বলেন, ‘আমরা কালাদান নদীর তীরবর্তী বন্দরনগর পালেতওয়া দখলে নিয়েছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
গতকাল শুক্রবার আরাকান আর্মি জানায়, তারা রাখাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী পাকতাও দখল করে নিয়েছে।
এর পর থেকেই মূলত সেনাবাহিনী ও আরাকার আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি এখন পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ জেড কে/
Discussion about this post