মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট জানিয়েছেন, আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সফর সূচিতে ইসরাইলের নাম না থাকায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
লেভিট জানান, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে শুক্রবার রোমে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম বিদেশ সফর।
সূত্র জানায়, মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব নির্দেশনা। ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরে থাকা ব্যবসামুখী নীতিনির্ধারকেরা এই সফরকে দেখছেন বিনিয়োগ আনার পথ হিসেবে, আবার একইসঙ্গে এক আঞ্চলিক এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবেও।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই ঘনিষ্ঠতা কেবল নিরাপত্তার জন্য নয়। জ্বালানি বাজারে স্থিতিশীলতা, উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্ব গড়ার এবং প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করাও এ পরিকল্পনার অংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের বড় দিক হচ্ছে ইরানবিরোধী অবস্থানকে পাকাপোক্ত করা। পারস্য উপসাগরে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে ইসরাইল, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে একটি শক্তিশালী জোট গঠন তৈরি করতে চান ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গাজায় চলমান সংঘাতের ভেতরেও ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতে আগ্রহী ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্ভাব্য সম্পর্কোন্নয়নে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নির্ধারকের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
মার্কিন শুল্কনীতি ও বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে আরও বেশি বিনিয়োগ টানার চেষ্টা ট্রাম্প অনেক আগে থেকেই করে আসছেন।
এ ইউ/
Discussion about this post