অষ্টম শ্রেণি পাস যুবক বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট। শুধু তাই নয় একাধারে পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই অফিসার, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ রয়েছে বিভিন্ন পরিচয়। বলছি নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। যিনি এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই কমপক্ষে ১৪টা বিয়ে করেছেন।
বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।
জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যেতেন । এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
টিবি
Discussion about this post